পোস্টগুলি

গাজীপুরের সৌন্দর্য মারতা গ্রাম

ছবি
                                                      মারতা গ্রামের বিলের ভিতর গাছ মিথ্যা শিখাইলি গানের ভিডিও দেখেই এর শুটিং লোকেশন দেখে ভালো লেগে যায় সেই থেকেই খোঁজ নিতে থাকি জায়গাটা কোথায় তারপর জানতে পারলাম এটি গাজীপুরের জয়দেবপুরের মারতার এক গ্রামে।যেই কথা সেই কাজ চলে এলাম এখানে।  সকাল ১০ টায় খিলগাঁও থেকে বাসে চরে আমি আর  Ahanaf  বসুন্ধরা নেমে  Arnob  কে পিক করে চলে গেলাম গাজীপুর চৌরাস্তা এরপর গুগল ম্যাপের মেহেরবানীতে জয়দেবপুর রেইলস্টেশন পর্যন্ত এলাম বাসে।এরপর সবাইকে জিজ্ঞেস করতে করতে পেলাম মারতা যাওয়ার অটো।অটোতে যতই মারতার দিকে যাচ্ছিলাম আশেপাশের পরিবেশ দেখে ততই মুগ্ধ হচ্ছিলাম।দেখার মত পরিবেশ। আশেপাশে জলাশয় আর শুধুই জলাশয় :P অটো আমাদের মারতা ব্রিজে নামিয়ে দিলো।মারতা ব্রিজটা জোশ। কেনো যেন একটু অন্যরকম লাগলো।ব্রিজে দারিয়ে শুধু বাতাশ খাচ্ছি :P আশেপাশে জলাশয়।সেই সাথে শাপলা।সেখানে মাঝি মামা মাছ ধরতে ব্যস্ত সেইসাথে বা...

"পানাম নগর" দ্যা লস্ট সিটি

ছবি
আগে থকেই প্লান ছিলো গ্রুপ নিয়ে সোনারগাঁ যাবো তবে পানাম সিটি যাবো সেটা আগে থেকে প্লান করিনি।সোনারগাঁয়ে দুলাভাইয়ের নির্বাচন তাই দল বেঁধে চলে এলাম আমি ইমন,আশিক আর ফাহিম ফাইয়া।প্রথমে আমরা রামপুরা ব্রিজ থেকে গ্যালাক্সি বাসে করে ডেমরা নেমেছিলাম এরপর ওখান থেকে CNG করে চিটাগং রোড তারপর ওখান থেকে আবার বাস ধরে মোগরাপাড়া সেখান থেকে সিএনজি নিয়ে দুলাভাইয়ের বাসা। এরপর কিছুক্ষণ ঘুরে প্লান করলাম পানাম নগর গেলে কেমন হয়? সবাই আমার প্রস্তাবে রাজী হয়ে গেলো আমাদের গাইড হিসেবে ছিলো সোনারগাঁয়ের স্থানীয় আমাদের এক ভাতিজা।নাম ফাহিম। ওকে নিয়েই টেম্পুতে করে রওনা হলাম পানামে র  পথে।যাওয়ার রাস্তাটা ভাঙা ছিলো কারণ আমরা ভিতর দিয়ে গিয়েছিলাম তবে আসার রাস্তাটা বেশ ভালোই ছিলো। পানামে ঢুকার আগে পড়ে জাদুঘর তবে সময় স্বল্পতার কারণে সেখানে যাওয়া হয়নি। টিকেট কাউন্টার থেকে ১৫ টাকা দরে ৫ টি টিকেট কিনে নিলাম এরপর পুরনো স্থাপত্য দেখে মুগ্ধ হতে থাকলাম।কি অপার এই সৌন্দর্য। পানাম সিটি                                        ...

"লালবাগের কেল্লায় বেড়ানো" পুড়ান ঢাকা পর্ব-২

ছবি
অনেকদিন ধরেই ভাবছিলাম লালবাগের কেল্লায় যাবো। ঢাকায় থাকি অথচ এখনো শায়েস্তা খানের কেল্লায় যাইনি! তা কি করে হয়? গ্রুপ নিয়ে চলে গেলাম কেল্লায়।টিকেট কাউন্টারে গিয়ে ৫ টি টিকেট কিনলাম।জনপ্রতি ২০ টাকা।ভিতরে ঢুকেই দেখলাম পরীবিবির সমাধি। এই ভবনটি মুঘল সুবেদার   শায়েস্তা খানে র  প্রিয় কন্যা   পরীবিবির সমাধি   নামে পরিচিত। বাংলাদেশে এই একটি মাত্র ইমারতে মার্বেল পাথর, কষ্টি পাথর ও বিভিন্ন রং এর ফুল-পাতা সুশোভিত চাকচিক্যময় টালির সাহায্যে অভ্যন্তরীণ নয়টি কক্ষ অলংকৃত করা হয়েছে। কক্ষগুলির ছাদ কষ্টি পাথরে তৈরি। এ সমাধি সৌধটির ৪ কোনায় চারটি অষ্টকোনাকার বুরুজ রয়েছে। এসমস্ত বুরুজ নিচ থেকে উপরের দিকে সরু হয়ে উঠে গেছে এবং এর শীর্ষ বিভিন্ন প্যানেল দ্বারা অলংকৃত। বুরুজের শীর্ষদেশে গোলাকার কিউপোলা বা নিরেট ছাদ এবং চূড়া রয়েছে। দ্বিগম্বুজ বিশিষ্ট এই সমাধি সৌধের কেন্দ্রীয় কক্ষের উপরের কৃত্রিম গম্বুজটি তামার পাত দিয়ে আচ্ছাদিত। ২০.২ মিটার বর্গাকৃতির এই সমাধিটি   ১৬৮৮ খ্রিস্টাব্দের  পুর্বে নির্মিত।   তবে এখানে পরীবিবির মরদেহ বর্তমানে নেই বলে বিশেষজ্ঞদের অভিমত। আর এগিয়...

"আহসান মঞ্জিল" পুড়ান ঢাকা পর্ব-১

ছবি
মালিবাগ থেকে সুপ্রভাত বাসে বিশ্ববিদ্যালয়ের টীম মেম্বাররা রওনা দিলাম সদরঘাটের পথে।যদিও সেইদিন বাস গুলিস্তানে আমাদের নামিয়ে দিয়েছে।ওখান থেকে বাস ধরে জনসন রোড এরপরে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়। জগন্নাথ থেকেই হাঁটতে হাঁটতে চলে এলাম আহসান মঞ্জিলে।কাউন্টারে গিয়ে ২০ টাকা দরে ৪ টি টিকেট কিনলাম। এবার চলুন আহসান মঞ্জিলের ইতিহাস ও এর বিস্তারিত কিছু তথ্য জানি। আহসান মঞ্জিল বুড়িগঙ্গা নদীর উত্তর তীরে পুরান ঢাকার ইসলামপুর এলাকায় অবস্থিত। এটি ব্রিটিশ ভারতের উপাধিপ্রাপ্ত ঢাকার নবাব পরিবারের বাসভবন ও সদর কাচারি ছিল। সুরম্য এ ভবনটি ঢাকার অন্যতম শ্রেষ্ঠ স্থাপত্য নিদর্শন। ঢাকা মহানগরীর উন্নয়ন ও রাজনৈতিক ক্রমবিকাশের বহু স্মরণীয় ঘটনাসহ অনেক জাতীয় ও আন্তর্জাতিক স্মৃতি বিজরিত এই ‘আহসান মঞ্জিল’। অষ্টাদশ শতাব্দীর প্রথমদিকে জালালপুর পরগনার (বর্তমান ফরিদপুর-বরিশাল) জমিদার শেখ ইনায়েত উল্লাহ আহসান মঞ্জিলের বর্তমান স্থানে একটি বাগান বাড়ি তৈরি করেন। পরবর্তীকালে তাঁর পুত্র বাগান বাড়িটি এক ফরাসি বণিকের কাছে বিক্রি করে দেন। ফরাসিরা বাণিজ্য কুটির হিসেবে এটি ব্যবহার করতেন। ১৮৩০ সালে বেগমবাজারে বসবাসকারী নওয়াব আবদুল গণির পিত...

ঢাকার চিড়িয়াখানায় একদিন!!!

ছবি
ঢাকার মিরপুরে স্থাপিত বাংলাদেশের জাতীয় চিড়িয়াখানা। এটি  বাংলাদেশ সরকারের মৎস্য ও পশুসম্পদ মন্ত্রণালয়ের অধীনস্থ একটি প্রতিষ্ঠান। ১৯৫০ সালে হাইকোর্ট চত্বরে জীবজন্তুর প্রদর্শনশালা হিসেবে প্রতিষ্ঠিত হয় চিড়িয়াখানাটি। পরবর্তীকালে ১৯৭৪ সালে বর্তমান অবস্থানে স্থানান্তরিত হয় এটি। চিড়িয়াখানাটি উদ্বোধন ও সর্বসাধারণের জন্য উন্মুক্ত হয় ১৯৭৪ সালের ২৩ জুন। বছরে প্রায় ৩০ লক্ষ দর্শনার্থী ঢাকা চিড়িয়াখানা পরিদর্শন করে থাকেন। ঊনবিংশ শতাব্দীর শেষভাগে ঢাকা শহরের শাহবাগে তৎকালীন নবাবরা একটি ব্যক্তিগত চিড়িয়াখানার গোড়াপত্তন করেন। ১৯৪৭ সালে পাকিস্তান সৃষ্টির পর বাংলাদেশ বা তৎকালীন পূর্ব-পাকিস্তানে একটি চিড়িয়াখানার অভাব অনুভূত হয়। পঞ্চাশের দশকের শেষভাগে ঢাকার সুপ্রিম কোর্টের সামনে বর্তমান ঈদগাহ এলাকায় ৪-৫ একর জায়গা জুড়ে ছোট আকারের একটি চিড়িয়াখানা স্থাপন করা হয়। চিড়িয়াখানাটিতে একটি বড় পুকুর এবং পাড়ের খানিকটা জায়গা জুড়ে একটি বলাকা প্রদর্শনী ছিল। সেখানে রাজহাঁস, পাতিহাঁস, শীতের পরিযায়ী হাঁস এবং অন্যান্য পাখি ছিল। হাড়গিলা, সারস এবং ময়ূরও প্রদর্শিত হত। বানর, হনুমান আর হরিণ ছিল...